আপনার কার্ট

  • আপনার কার্ট খালি!
৳১০,০০০-এর বেশি অর্ডারে ফ্রি শিপিং!
যৌনমিলনের সময় ব্যথা ,কারণ ও যত্ন ।
Beshi Khushi Last Update: নভে 10, 2025 1,209

বাংলাদেশে পুরুষদের ডাইস্পারিউনিয়া (Male Dyspareunia): কারণ, উপসর্গ, নির্ণয় ও চিকিৎসা

যৌনতা উপভোগ্য হওয়া উচিত — বেদনাদায়ক নয়। কিন্তু অনেক পুরুষের জন্য যৌন মিলন অস্বস্তিকর বা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। Male Dyspareunia বা পুরুষদের বেদনাদায়ক যৌন মিলন এমন একটি সমস্যা যা যেকোনো বয়সে হতে পারে — কিন্তু খুব কম মানুষ খোলামেলা বলেন।

বাংলাদেশে অনেক পুরুষ সামাজিক ট্যাবু ও সংকোচের কারণে যৌন ব্যথা নিয়ে কথা বলেন না। কিন্তু এটি আসলে বেশ সাধারণ একটি অবস্থা। কখনও এটি সামান্য ত্বকের জ্বালাপোড়া, আবার কখনও এটি সংক্রমণ, স্নায়ুজনিত সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত কারণে হতে পারে। সুখবর হলো — বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি অস্থায়ী এবং সঠিক চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়।

ডাইস্পারিউনিয়া কী?

ডাইস্পারিউনিয়া (Dyspareunia) মানে হলো যৌন কার্যক্রমের সময় বা পরে ব্যথা অনুভব করা। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ব্যথা লিঙ্গ, অণ্ডকোষ, নিম্ন উদর বা পেলভিক অঞ্চলে হতে পারে। এটি কখনও জ্বালাপোড়া, টানটান বা ছুরির মতো ব্যথা হিসেবেও অনুভূত হতে পারে।

এর পেছনে কারণ হতে পারে ত্বকের জ্বালা, অ্যালার্জি, সংক্রমণ, বা স্নায়ুর অতিসংবেদনশীলতা। অনেক সময় মানসিক চাপ বা উদ্বেগও ভূমিকা রাখে। যদিও গবেষণার অধিকাংশই নারীদের ডাইস্পারিউনিয়া নিয়ে, পুরুষদের ক্ষেত্রেও এটি ঘটে — শুধু তারা চুপচাপ সহ্য করেন। দ্রুত লক্ষণ শনাক্ত করে চিকিৎসা নেওয়া সমস্যাকে জটিল হতে দেয় না।

পুরুষদের ডাইস্পারিউনিয়ার উপসর্গ

ডাইস্পারিউনিয়ার ব্যথা কারও ক্ষেত্রে হালকা জ্বালা, কারও ক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ ও আকস্মিক ব্যথা হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

  • প্রবেশের সময় হঠাৎ বা ছুরির মতো ব্যথা
  • যৌনমিলনের সময় জ্বালাপোড়া বা ঝাঁঝালো অনুভূতি
  • মিলনের পর দীর্ঘস্থায়ী টানটান ব্যথা
  • লিঙ্গ বা অণ্ডকোষের আশেপাশে অস্বস্তি
  • বীর্যপাতের সময় জ্বালা বা ব্যথা

বারবার এই ব্যথা দেখা দিলে বা আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেললে, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পুরুষদের ডাইস্পারিউনিয়ার কারণ

যৌন মিলনের সময় ব্যথার কারণ হতে পারে অনেক — ত্বকের জ্বালা থেকে শুরু করে গভীর স্নায়বিক সমস্যা পর্যন্ত। নিচে সাধারণ কারণগুলো তুলে ধরা হলো।

যৌন সংক্রমণ (STIs)

ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া, সিফিলিস, হারপিস বা জেনিটাল ওয়ার্টস-এর মতো সংক্রমণ যৌনাঙ্গে প্রদাহ বা ঘা সৃষ্টি করতে পারে, যা যৌনমিলনের সময় ব্যথা তৈরি করে। এসব সংক্রমণে ইউরেথ্রা (যে পথে প্রস্রাব ও বীর্য যায়) ফুলে যেতে পারে, ফলে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হয়। বাংলাদেশে STI সম্পর্কে সচেতনতা এখনো কম, তাই অনেকেই উপসর্গ উপেক্ষা করেন। দ্রুত পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিলে বেশিরভাগ সংক্রমণ সহজেই সারানো যায়।

পেয়রোনি’স ডিজিজ (Peyronie’s Disease)

এই অবস্থায় লিঙ্গের ভিতরে দাগের মতো টিস্যু তৈরি হয়, ফলে লিঙ্গ বেঁকে যায়। সবসময় ব্যথা না হলেও, মিলনের সময় চাপ বা টান অনুভূত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি যৌন আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলতে পারে।

অ্যালার্জি বা ত্বকের সংবেদনশীলতা

কনডম, লুব্রিকেন্ট বা সাবানের রাসায়নিক উপাদান ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এতে চুলকানি, শুষ্কতা, বা লালচে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। স্থানীয় বাজারে বিক্রি হওয়া সুগন্ধযুক্ত পণ্য অনেক সময় ত্বকে ক্ষতি করে। তাই সুগন্ধহীন ও ত্বক-বান্ধব পণ্য ব্যবহার করা ভালো।

ঘর্ষণ বা আঘাতজনিত সমস্যা

যথেষ্ট লুব্রিকেশন ছাড়া বারবার যৌনমিলন করলে ত্বকে ছোট ক্ষত বা ফ্রিকশন বার্ন হতে পারে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • শুষ্ক যৌনমিলন বা টাইট পোশাক
  • অনুপযুক্ত খেলনা বা যন্ত্রের ব্যবহার
  • যৌনমিলনের সময় আকস্মিক বেঁকে যাওয়া

Penile fracture (লিঙ্গ ভেঙে যাওয়া) অত্যন্ত জরুরি অবস্থা এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা প্রয়োজন।

অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা প্রদাহ

জেনিটাল ওয়ার্টস, সংক্রমিত রোমকূপ বা ভাইরাসজনিত ফুসকুড়ি (molluscum contagiosum) ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রে, লিঙ্গ ক্যান্সার বা ব্যাকটেরিয়াল আলসার থেকেও ব্যথা হয়, যা সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।

মূত্রথলি বা প্রোস্টেটের সমস্যা

প্রোস্টাটাইটিস, ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস, পেলভিক পেইন সিন্ড্রোম, বা ইউরিনারি ইনফেকশন যৌনমিলনের সময় ব্যথা তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশে অনেক পুরুষ প্রস্রাবজনিত সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে ওঠে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ওষুধের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ও বেদনাদায়ক ইরেকশন (Priapism) হতে পারে, যা জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিসাইকোটিক বা ইরেকশন-বর্ধক ওষুধ (Viagra®, Cialis®) এই সমস্যা ঘটাতে পারে।

স্নায়বিক সমস্যা

ডায়াবেটিস বা আঘাতজনিত কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে যৌনাঙ্গে ব্যথা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি হতে পারে। সাধারণ উদাহরণ:

  • Pudendal neuralgia (স্নায়ু চাপে ব্যথা)
  • Peripheral neuropathy (ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু দুর্বলতা)
  • Spinal cord injury
  • Post-herpetic neuralgia (শিংলসের পর স্নায়ু ব্যথা)

অন্যান্য কারণ

  • মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা পূর্বের ট্রমা
  • Phimosis (চামড়া টাইট হওয়া) বা সার্জারি-জনিত দাগ
  • অণ্ডকোষের টিউমার বা সিস্ট
  • ত্বকের রোগ, যেমন Lichen sclerosis

পুরুষদের ডাইস্পারিউনিয়ার ঝুঁকির কারণ

যৌনমিলনের সময় ব্যথা যেকারও হতে পারে, তবে কিছু কারণ ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশে এর মূল ঝুঁকিগুলো হলো:

  • রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার: কনডম, লুব্রিকেন্ট বা সুগন্ধযুক্ত সাবান ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
  • লুব্রিকেশনের অভাব: শুকনো যৌনমিলনে ঘর্ষণ বার্ন হতে পারে।
  • বয়স: তরুণদের মধ্যে STI ঝুঁকি বেশি, বয়স্কদের মধ্যে প্রোস্টেট বা স্নায়ু সমস্যা দেখা যায়।
  • একাধিক যৌন সঙ্গী: অনিরাপদ মিলন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা: ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ইনফেকশন বা স্থূলতা যৌন ব্যথা বাড়ায়।
  • আগের আঘাত: পুরনো ট্রমা পরবর্তীতে Peyronie’s disease-এর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিরাপদ যৌন অভ্যাস ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে অধিকাংশ ঝুঁকি কমানো যায়।

ডাইস্পারিউনিয়ার নির্ণয় (Diagnosis)

যদি যৌনমিলনের সময় ব্যথা বারবার দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাংলাদেশে অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্ট ও সেক্সোলজিস্টরা এসব সমস্যা গোপনীয়ভাবে চিকিৎসা করেন।

চিকিৎসক সাধারণত:

  • লিঙ্গ পরীক্ষা করে ফোলাভাব বা দাগ খোঁজেন
  • পূর্বের স্বাস্থ্য ও যৌন ইতিহাস জানতে চান
  • ব্যথা কবে, কোথায় ও কীভাবে হয় তা আলোচনা করেন

প্রয়োজনে করা হতে পারে:

  • রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা (সংক্রমণ বা ডায়াবেটিস নির্ণয়ে)
  • ইমেজিং স্ক্যান (Ultrasound/MRI)
  • Urethral swab সংক্রমণ শনাক্তে
  • স্নায়ু বা মানসিক মূল্যায়ন, যদি উদ্বেগ বা ট্রমা থাকে

সৎভাবে তথ্য দিলে চিকিৎসক দ্রুত সঠিক কারণ বের করে কার্যকর চিকিৎসা দিতে পারেন।

চিকিৎসা (Treatment)

ডাইস্পারিউনিয়ার চিকিৎসা সম্পূর্ণ কারণনির্ভর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ঘর্ষণ বা ছোট আঘাত

  • গরম পানি ও মৃদু সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখুন
  • পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন
  • ক্ষত না সারা পর্যন্ত যৌনমিলন এড়িয়ে চলুন
  • ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
  • ফুলে গেলে ঠান্ডা সেঁক দিন

গুরুতর আঘাত (যেমন penile fracture) হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান।

যৌন সংক্রমণ ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: অ্যান্টিবায়োটিক

ভাইরাল সংক্রমণ: অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ (Acyclovir, Valacyclovir)

ওয়ার্ট বা গ্রোথ: ক্রায়োথেরাপি, লেজার বা সার্জিক্যাল অপসারণ

পেয়রোনি’স ডিজিজ

হালকা ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না

  • তীব্র ক্ষেত্রে: ইনজেকশন, মৌখিক ওষুধ, শকওয়েভ থেরাপি বা সার্জারি

অ্যালার্জি বা ত্বকের সংবেদনশীলতা

অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পণ্য ব্যবহার বন্ধ করুন। পেট্রোলিয়াম জেলি বা মৃদু ক্রিম ত্বকের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।

স্নায়বিক কারণ

ডায়াবেটিস বা স্নায়ু ক্ষতি থাকলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। Gabapentinoid বা Duloxetine জাতীয় ওষুধ স্নায়ু ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।

প্রতিরোধ (Prevention)

সব ধরনের ডাইস্পারিউনিয়া এড়ানো সম্ভব নয়, কিন্তু কিছু অভ্যাস ব্যথার ঝুঁকি কমায়।

  • রাসায়নিকযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলুন
  • পর্যাপ্ত লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন
  • নতুন ওষুধ শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
  • নিরাপদ যৌনমিলন (কনডম ব্যবহার করুন)
  • নিয়মিত STI পরীক্ষা করান
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন

যদি ব্যথা, জ্বালা বা অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেয়, অবহেলা করবেন না। একজন ইউরোলজিস্ট বা সেক্সোলজিস্টের কাছে দ্রুত যাওয়াই নিরাপদ সমাধান।

 

সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQs)

পুরুষদের যৌনমিলনের সময় ব্যথা হতে পারে সংক্রমণ, ত্বকের জ্বালা, প্রোস্টেটের প্রদাহ বা স্নায়ুর সংবেদনশীলতার কারণে। বাংলাদেশে অপরিচ্ছন্নতা, ডায়াবেটিস ও অনিরাপদ যৌনমিলন প্রধান কারণ। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিলে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসে।
হালকা অস্বস্তি সাধারণত নিজে থেকেই ভালো হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা সংক্রমণ বা আঘাতের ইঙ্গিত হতে পারে। আত্মবিশ্বাস বা সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। বাংলাদেশে দক্ষ ইউরোলজিস্টরা এসব সমস্যা গোপনীয়ভাবে চিকিৎসা করেন।
পুরুষদের যৌন ব্যথার ক্ষেত্রে ইউরোলজিস্ট বা সেক্সোলজিস্ট সবচেয়ে উপযুক্ত। তাঁরা সংক্রমণ, বেঁকে যাওয়া বা স্নায়ুজনিত কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গোপনীয় যৌনস্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায়।
প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়, তারপর প্রস্রাব বা রক্ত পরীক্ষা করে সংক্রমণ ও হরমোন সমস্যা যাচাই করা হয়। প্রয়োজনে আল্ট্রাসাউন্ড বা MRI করা হয়। চিকিৎসক স্নায়ু ও মানসিক অবস্থাও মূল্যায়ন করতে পারেন।
চিকিৎসা সম্পূর্ণ কারণনির্ভর। সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল, আর স্নায়ু ব্যথায় বিশেষ ওষুধ বা থেরাপি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাপন ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে নির্দেশনা দেন যাতে দ্রুত আরাম মেলে।
ভালো স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ যৌনমিলন ও পর্যাপ্ত লুব্রিকেন্ট ব্যবহার ডাইস্পারিউনিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। সুগন্ধযুক্ত রাসায়নিক পণ্য এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত STI পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সক্রিয় জীবনযাপন পুরুষদের দীর্ঘমেয়াদি যৌনস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

Your experience on this site will be improved by allowing cookies.