আপনার কার্ট

  • আপনার কার্ট খালি!
৳১০,০০০-এর বেশি অর্ডারে ফ্রি শিপিং!
Low Testosterone for Men: What is it?
Beshi Khushi Last Update: অক্টো 01, 2025 834

বাংলাদেশে পুরুষদের লো টেস্টোস্টেরন (Testosterone Deficiency): কেন হয়, লক্ষণ ও নিরাপদ চিকিৎসা

টেস্টোস্টেরন হলো শরীরের প্রধান অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন)। টেস্টোস্টেরন এনার্জি, মুড, সেক্স ড্রাইভ, ইরেকশন, পেশী-শক্তি, ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন, হাড়ের স্বাস্থ্য, রেড ব্লাড সেল তৈরি ও ফার্টিলিটিসহ বহু সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশে স্ট্রেস, ঘুমের গুণগত মানের অবনতি, ওজন বৃদ্ধি, অল্প বয়সে ডায়াবেটিস, এবং তামাক (জর্দা/গুলসহ) ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে। অনেকেই “বয়স হয়েছে” ভেবে লক্ষণ এড়িয়ে যান—শুরুতেই ঠিক মতো মূল্যায়ন করলে স্বাভাবিক অবস্থায় পরিবর্তন সম্ভব।

লো টেস্টোস্টেরন কী?

লো টেস্টোস্টেরন (পুরুষ হাইপোগোনাডিজম) হচ্ছে এমন এক অবস্থা যেখানে নিয়মিতভাবে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকে এবং প্রাসঙ্গিক লক্ষণ দেখা যায়। চিকিৎসকেরা সাধারণত সমস্যার উৎস অনুযায়ী দুই ভাগে দেখেন:

  • প্রাইমারি (টেস্টিকুলার): টেস্টিস যথেষ্ট টেস্টোস্টেরন বানাতে পারছে না।
  • সেকেন্ডারি (ব্রেইন/পিটুইটারি): হাইপোথ্যালামাস/পিটুইটারি থেকে যথেষ্ট সিগন্যাল (GnRH, LH/FSH) যাচ্ছে না।

উভয় ধরনের সমস্যা যেকোনো বয়সে হতে পারে; বিশেষ করে স্থূলতা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও ঘুমের ব্যাধির সঙ্গে সম্পর্ক বেশি। কোন ধরন সেটা বুঝতে পারলেই চিকিৎসা নিরাপদ ও ফলদায়ক হয়—বিশেষ করে যাদের সন্তান পরিকল্পনা আছে।

কীভাবে কাজ করে টেস্টোস্টেরন

মগজের হাইপোথ্যালামাস → GnRH ছাড়ে → পিটুইটারি → LH/FSH দেয়:

  • LH → টেস্টিসের Leydig সেলকে টেস্টোস্টেরন বানাতে বলে।
  • FSH → Sertoli সেলের মাধ্যমে স্পার্ম উৎপাদন (spermatogenesis) সমর্থন করে।

এটি একটি ফিডব্যাক লুপ: টেস্টোস্টেরন বাড়লে সিগন্যাল কমে, কমলে সিগন্যাল বাড়ে। অক্ষের যেকোনো স্থানে বিঘ্ন (মগজ/পিটুইটারি/টেস্টিস), অথবা ঘুমের ঘাটতি, স্থূলতা, অ্যালকোহল, ওপিয়য়েড/স্টেরয়েড, দীর্ঘমেয়াদি অসুখ ইত্যাদিতেও মাত্রা নেমে যেতে পারে। তাই শুধু “একটা কম নম্বর” দেখে সিদ্ধান্ত না নিয়ে—হরমোনের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্যচিত্র দেখতে হয়।

“স্বাভাবিক” রেঞ্জ কত?

অনেক ল্যাবে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের টোটাল টেস্টোস্টেরন ~300–1,000 ng/dL, সকাল ৭–১০টা-এর মধ্যে সর্বোচ্চ ধরা হয় (সেই সময়েই টেস্ট ভালো)। বয়স, ঘুম, অসুস্থতা ও স্থূলতায় ভ্যারিয়েশন স্বাভাবিক। কেউ কেউ “বর্ডারলাইন” নম্বরেও ভালো থাকেন, আবার কারও স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। কাজেই বিশ্বস্ত গাইডলাইনগুলো সাধারণত বলে:

  • লক্ষণ + দুইটি সকালবেলার কম টেস্টোস্টেরন—তখনই ডায়াগনসিস।
  • SHBG অস্বাভাবিক হলে ফ্রি টেস্টোস্টেরন দেখা।
  • LH/FSH মেপে প্রাইমারি বনাম সেকেন্ডারি আলাদা করা।

শুধু একবারের রিপোর্ট যথেষ্ট নয়; ইতিহাস, ঘুম, ওষুধ, ওজন ও ফার্টিলিটি লক্ষ্য মাথায় রেখে ব্যাখ্যা করতে হয়।

সাধারণ লক্ষণ (Symptoms)

সবাই একরকম লক্ষণ দেখান না—কারও আগে সেক্সুয়াল পরিবর্তন, কারও আগে ক্লান্তি/মুড-ডিপ:

  • লিবিডো কমে যাওয়া বা ঘনিষ্ঠতার আগ্রহ হ্রাস
  • ইরেকশন সমস্যা; সকালের স্বতঃস্ফূর্ত/স্পন্টেনিয়াস ইরেকশন কমে যাওয়া
  • এনার্জি কম, দিনে টিকে থাকতে ঘুম/ন্যাপের প্রয়োজন
  • মুড/কগনিশন: মন খারাপ, বিরক্তি, ব্রেইন ফগ, মনে না থাকা
  • গঠন: পেশী-শক্তি কমা; পেটে ফ্যাট জমা (ফেরানো কঠিন)
  • হাড়: সময়ের সাথে বোন ডেনসিটি কমে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি
  • ঘুম: ইনসমনিয়া/রিফ্রেশিং না হওয়া ঘুম; স্লিপ অ্যাপনিয়ার যোগ থাকতে পারে
  • রক্ত/চুল: রেড ব্লাড সেল কমে অ্যানিমিয়া, দুর্বলতা/মাথাব্যথা; শরীর/দাড়ি-গোঁফ পাতলা
  • প্রজনন: টেস্টিস সাইজ কমা, ফার্টিলিটি সমস্যা; কখনও গাইনোকোম্যাস্টিয়া

বাংলাদেশি ধাঁচে অনেকেই বলেন: স্ট্যামিনা কমে গেছে, ঘনিষ্ঠতার আগ্রহ কম, পেট বেড়েছে, ঘুম খারাপ—এরপর ধীরে ধীরে ED। তবে ED-এর নানা কারণ থাকে; নিজে নিজে রোগ ধরে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাংলাদেশে লো টেস্টোস্টেরনের কারণ

প্রাইমারি (টেস্টিকুলার)

  • জেনেটিক (যেমন Klinefelter), আনডিসেন্ডেড টেস্টিস
  • আঘাত/অপারেশন, টর্শন, রেডিয়েশন/কেমোথেরাপি
  • সংক্রমণ (যেমন মামস অর্কাইটিস)
  • বয়সজনিত পতন + ডায়াবেটিস/ভাসকুলার রোগ

সেকেন্ডারি (ব্রেইন/পিটুইটারি)

  • পিটুইটারি/হাইপোথ্যালামাসের সমস্যা/টিউমার; প্রোল্যাকটিন বেশি
  • স্থূলতা, মেটাবলিক সিনড্রোম, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
  • স্লিপ অ্যাপনিয়া, দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস/ডিপ্রেশন
  • ওষুধ: দীর্ঘদিন ওপিয়য়েড, কিছু স্টেরয়েড, কিছু সাইক-মেডস
  • অ্যালকোহল/রেক্রিয়েশনাল ড্রাগ
  • অ্যানাবলিক স্টেরয়েড (AAS) ব্যবহারের পর ‘ক্র্যাশ’
  • দীর্ঘস্থায়ী কিডনি/লিভার রোগ, আয়রন ওভারলোড

অনেক ফ্যাক্টর একসঙ্গে কাজ করে—যেমন পেটের স্থূলতা + স্লিপ অ্যাপনিয়া → LH/FSH সিগন্যাল নেমে যায়, টোটাল/ফ্রি T দুটোই কমে—ওজন কমানো ও স্লিপ-থেরাপিতে উন্নতি হয়।

বাংলাদেশে ঝুঁকির কারণ (Risk Factors)

  • অল্প বয়সে ডায়াবেটিস/প্রীডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি
  • পরিশোধিত কার্ব, ভাজা খাবার, চিনি-যুক্ত পানীয় → পেটের চর্বি
  • দেরি করে জাগা/স্মার্টফোন—ঘুম কম; স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি
  • ধূমপান ও জর্দা/গুল/বিড়ি
  • দীর্ঘ ঢাকা কমিউট, আর্থিক চাপ, শিফট-ওয়ার্ক → মানসিক চাপ
  • রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং/নিয়মিত নড়াচড়া কম
  • “জিম-বুস্টার”/হরমোন নিজে নিজে নেওয়া (অরেগুলেটেড AAS ব্লেন্ড)

শুধু হরমোন না দিয়ে—এই বাস্তব বিষয়গুলো সমাধান করলে ফল ভালো এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

কীভাবে ডাক্তাররা লো টেস্টোস্টেরন নির্ণয় করেন

১) ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা

লিবিডো/ED/এনার্জি/ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্য, ফার্টিলিটি পরিকল্পনা, ওষুধ/সাপ্লিমেন্ট (AAS সাইকেলসহ), ডায়াবেটিস/থাইরয়েড, ফ্যামিলি হিস্ট্রি।

২) সকালের রক্তপরীক্ষা (দুই দিন)

  • টোটাল টেস্টোস্টেরন (সকাল ৭–১০টা), দুই ভিন্ন সকালে
  • SHBG অস্বাভাবিক হলে ফ্রি টেস্টোস্টেরন
  • LH/FSH → প্রাইমারি নাকি সেকেন্ডারি
  • প্রয়োজনে প্রোল্যাকটিন, TSH/FT4, HbA1c, লিপিড, CBC, ভিটামিন-D, LFTs

৩) টার্গেটেড টেস্ট

  • সেকেন্ডারি সন্দেহ/প্রোল্যাকটিন বেশি → পিটুইটারি MRI
  • স্লিপ অ্যাপনিয়া সন্দেহ → স্লিপ স্টাডি
  • আয়রন ওভারলোড → Iron studies

মূল কথা: ক্লিনিকাল লক্ষণ + বারবার কম টেস্টোস্টেরন—এটাই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বর্ডারলাইন নম্বর মানেই রোগ নয়; অযথা চিকিৎসা ক্ষতিকর হতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

  • চলমান লিবিডো কমে যাওয়া, ক্লান্তি বা ইরেকশন সমস্যা + ওজন/ঘুমের অবনতি
  • শিগগির বা নিকট ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনা
  • স্টেরয়েড ব্যবহারের ইতিহাস—পরবর্তীতে মুড/এনার্জি/লিবিডো “ক্র্যাশ”
  • বারবার হাড় ভাঙা/উচ্চতা কমে আসা—বোন লসের ইঙ্গিত
  • ডায়াবেটিস/মেটাবলিক সিনড্রোমের সাথে সকালের ইরেকশন কমে যাওয়া, স্ট্যামিনা পড়া

টেলিমেডিসিন বা ইন-পারসন ইউরোলজিস্ট/এন্ডোক্রাইনোলজিস্টে দেখা—প্রথম ভালো পদক্ষেপ। সাধারণত একটি ল্যাব-প্ল্যান ও ফলো-আপ থাকবে।

চিকিৎসা (Treatment Options)

আগে মূল কারণগুলো ঠিক করুন

  • ওজন ৫–১০% কমানো
  • ডায়াবেটিস/প্রেশার/লিপিড নিয়ন্ত্রণ; স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা
  • অ্যালকোহল কমানো; ধূমপান ও জর্দা/গুল ছাড়ুন
  • ডিপ্রেশন/অ্যাংজাইটি দেখানো; নিয়মিত ঘুমের রুটিন

এগুলো করলেই অনেকের টেস্টোস্টেরন অর্থপূর্ণভাবে বাড়ে—হরমোন থেরাপির প্রয়োজন কমে বা পিছিয়ে যায়।

টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (TRT)

কি: জেল/ক্রিম, ইনজেকশন, প্যাচ, পেলেট বা অনুমোদিত ওরাল ফর্ম—প্রমাণিত ঘাটতিতে লেভেল স্বাভাবিক রেঞ্জে আনার জন্য।

সম্ভাব্য উপকার: লিবিডো, এনার্জি, মুড, পেশী-শক্তি, হাড়ের ঘনত্ব; কিছু ক্ষেত্রে ED-এর রেসপন্সও ভালো হয় (অনেক সময়ে PDE5 ইনহিবিটরের সাথে)।

ঝুঁকি/মনিটরিং:

  • ব্রণ/তৈলাক্ত ত্বক, পানি জমা, স্লিপ অ্যাপনিয়া খারাপ হতে পারে
  • হেমাটোক্রিট বাড়া (রক্ত ঘন) → নিয়মিত নজরদারি
  • ফার্টিলিটি সাপ্রেশন (স্পার্ম কমে যেতে/বন্ধ হতে পারে)
  • গাইনোকোম্যাস্টিয়া
  • মনিটরিং: TT/ফ্রি T, CBC/হেমাটোক্রিট, লিপিড, বয়স/কেস অনুযায়ী PSA

যাদের জন্য নয়/সতর্কতা: শিগগির সন্তান নিতে চান—TRT সাধারণত অনুকূল নয়; কিছু ক্যান্সার/অনিয়ন্ত্রিত গুরুতর অবস্থা—ব্যক্তিগতকৃত সিদ্ধান্ত জরুরি।

ফার্টিলিটি-ফ্রেন্ডলি বিকল্প

টেস্টিস প্রতিক্রিয়াশীল হলে: ক্লোমিফিন/এনক্লোমিফিন, hCG, ± অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটার—নিজস্ব LH/FSH উদ্দীপিত করে টেস্টোস্টেরন/স্পার্ম বাড়াতে সহায়ক। মেডিক্যাল সুপারভিশন ও ল্যাব-মনিটরিং আবশ্যক; প্রাইমারি টেস্টিকুলার ফেলিয়ারে কাজ নাও করতে পারে।

ED-এর সহায়ক চিকিৎসা

PDE5 ইনহিবিটার (সিলডেনাফিল/টাডালাফিল ইত্যাদি) লো-T সমাধানের পাশাপাশি ইরেকশনের রক্তপ্রবাহ বাড়ায়; তবে এগুলো লো-T চিকিৎসার বিকল্প নয়। হার্টের রোগ/নাইট্রেট নিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বুস্টার/অরেগুলেটেড জিম-প্রডাক্ট এড়িয়ে চলুন—প্রাকৃতিক টেস্টোস্টেরন দমন, লিভার ক্ষতি, লিপিড খারাপ, ফার্টিলিটি নষ্ট করতে পারে।

টেস্টোস্টেরন-বান্ধব জীবনধারা

বাস্তবমুখী পুষ্টি

  • প্লেট ভরান প্রোটিন + ফাইবার + ভালো ফ্যাটে: ডিম, ইলিশ/রুই, মুরগি, ডাল, বাদাম-বীজ, সবজি, সরিষা/অলিভ অয়েল
  • পরিশোধিত কার্ব, ভাজাভুজি, মিষ্টি পানীয় কমান—পেটের চর্বি ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমবে
  • ভিটামিন-D, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি থাকলে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে নিন

ট্রেনিং—সিরিয়াসলি নিন

  • সপ্তাহে ২–৩ দিন রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং (কম্পাউন্ড লিফট/বডিওয়েট)
  • প্রতিদিন চলাফেরা: হাঁটা/সাইকেল, সিড়ি ব্যবহার; ডেস্ক-টাইমে ছোট বিরতি
  • সময় কম? ছোট HIIT সেশন—ধীরে ধীরে বাড়ান

ঘুম—একটি “হরমোন-লেভার”

  • রাতে ৭–৮ ঘণ্টা; নির্দিষ্ট সময়েই ঘুম–জাগা
  • রাতের স্ক্রিন কমান; রুম ঠান্ডা-অন্ধকার রাখুন
  • জোরে নাক ডাকা/অরিফ্রেশড ঘুম—স্লিপ স্টাডি প্রয়োজন হতে পারে

স্ট্রেস ও সাবস্ট্যান্স

  • প্রার্থনা/ধ্যান, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, কাউন্সেলিং
  • ধূমপান/জর্দা/গুল ছাড়ুন; অ্যালকোহল সীমিত করুন
  • রেক্রিয়েশনাল ড্রাগ/স্টেরয়েড সাইকেল এড়িয়ে চলুন

প্রতিরোধ (বাংলাদেশি প্রেক্ষাপট)

কোমরে মেদ নিয়ন্ত্রণ

  • সপ্তাহে ০.২৫–০.৫ কেজি ধীরে ধীরে ফ্যাট লস
  • প্রোটিন (ডিম, ইলিশ/রুই, মুরগি, ডাল), ফাইবার (সবজি/হোলগ্রেইন), ভালো ফ্যাট (সরিষা/অলিভ, বাদাম)
  • ভাতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত, ভাজা স্ট্রিট-ফুড ও চিনিযুক্ত পানীয় কম

ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন

  • প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম–জাগা; রুম ঠান্ডা/অন্ধকার; ঘুমের আগে স্ক্রিন টাইম কম
  • নাক ডাকা/দিনে তন্দ্রা → স্লিপ স্টাডি বিবেচনা

শরীরে ‘সঠিক সিগন্যাল’ পাঠান

  • সপ্তাহে ২–৩ দিন রেজিস্ট্যান্স + বেশিরভাগ দিনে brisk হাঁটা/সাইক্লিং
  • দীর্ঘ ডেস্ক-ওয়ার্কে মাঝেমধ্যে উঠে নড়াচড়া

তামাক ছাড়ুন, অ্যালকোহল মডারেট করুন

  • ধূমপান/জর্দা/গুল বন্ধ করলে ভাসকুলার ও হরমোনাল সিগন্যালিং ভালো হয়
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল টেস্টোস্টেরন ও ঘুম—দুটোকেই খারাপ করে

ওষুধ/সাপ্লিমেন্ট রিভিউ করুন

  • দীর্ঘমেয়াদি ওপিয়য়েড/স্টেরয়েড/অন্যান্য হরমোন-সাপ্রেসিং ড্রাগ নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন
  • “টেস্টোস্টেরন বুস্টার”/অচেনা ব্র্যান্ড এড়িয়ে চলুন
  • ডায়েট সীমিত হলে ভিটামিন-D/জিঙ্ক/ম্যাগনেসিয়াম নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

রুটিন হেলথ-চেক

  • ব্লাড প্রেসার, গ্লুকোজ/HbA1c, লিপিড—মেয়াদী স্ক্রিনিং
  • স্থূলতা/নাক ডাকা/দিনে ঘুম ঘুম ভাব থাকলে স্লিপ স্টাডি
 

বাংলাদেশে লো টেস্টোস্টেরন সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে লো টেস্টোস্টেরন (Low T) নিয়ে সাধারণ প্রশ্নের স্পষ্ট, ব্যবহারযোগ্য উত্তর—লক্ষণ, কারণ, নির্ণয় ও নিরাপদ চিকিৎসা।

লো টেস্টোস্টেরন বলতে শরীরে টেস্টোস্টেরন নামক পুরুষ হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রার নিচে নেমে যাওয়াকে বোঝায়। দেহে পর্যাপ্ত পুরুষ হরমোন না থাকলে এনার্জি, মুড, লিবিডো, ইরেকশন, পেশী, ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন, হাড় ও ফার্টিলিটি—সবই প্রভাবিত হতে পারে।
লিবিডো কমা, সকালের ইরেকশন কমা, স্ট্যামিনা পড়া, দিনের বেলা ক্লান্তি, পেটের মেদ—সাথে বিরক্তি, ব্রেইন ফগ, ওয়ার্কআউট , দুর্বল, ঘুম খারাপ।
প্রাইমারি—Klinefelter, আনডিসেন্ডেড টেস্টিস, আঘাত, কেমো/রেডিয়েশন, মামস অর্কাইটিস, বয়স+অন্যান্য অসুখ। সেকেন্ডারি—স্থূলতা/ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স/ডায়াবেটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া, স্ট্রেস/ডিপ্রেশন, কিছু ওষুধ (ওপিয়য়েড ইত্যাদি), অ্যালকোহল/ড্রাগ, AAS, পিটুইটারি ডিজঅর্ডার, আয়রন ওভারলোড, কিডনি/লিভার রোগ। অনেক সময়ে একাধিক কারণ একসাথে থাকে।
মেডিকেল হিস্ট্রি ও শারীরিক পরীক্ষা → দুইদিন সকালবেলার টোটাল T; প্রয়োজন হলে ফ্রি T, LH/FSH; কেস অনুযায়ী প্রোল্যাকটিন, থাইরয়েড, HbA1c, লিপিড, CBC; প্রয়োজনে স্লিপ স্টাডি/পিটুইটারি ইমেজিং এসবের মাধ্যমে হয়ে থাকে ।
অনেক ক্ষেত্রেই যায়—ওজন ৫–১০% কমানো, সপ্তাহে ২–৩ দিন রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং, বেশিরভাগ দিনে হাঁটা/সাইক্লিং, ৭–৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম; স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা, তামাক বর্জন, অ্যালকোহল মডারেশন। প্লেটে ডিম, ইলিশ/রুই, মুরগি, ডাল, সবজি, বাদাম, সরিষা/অলিভ অয়েল; ভাজাভুজি/চিনিযুক্ত পানীয়/অতিরিক্ত ভাত কমান।
টেস্টোস্টেরন ঘাটতিতে TRT (টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি) লিবিডো, এনার্জি, মুড, পেশী ও হাড়ের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এর সঙ্গে CBC/হেমাটোক্রিট, লিপিড প্রোফাইল, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং বেস্ট পরিবর্তন নিয়মিত মনিটর করতে হয়। মনে রাখা জরুরি—TRT সাধারণত শুক্রাণু উৎপাদন কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়, তাই যাঁরা শিগগির সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য এটি উপযোগী নয়। সেই ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি-ফ্রেন্ডলি বিকল্প হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্লোমিফিন / এনক্লোমিফিন বা hCG ব্যবহার করা যেতে পারে।

Your experience on this site will be improved by allowing cookies.