আপনার কার্ট

  • আপনার কার্ট খালি!
৳১০,০০০-এর বেশি অর্ডারে ফ্রি শিপিং!
অ্যানঅর্গাজমিয়া : এটি কি ?
Beshi Khushi Last Update: অক্টো 12, 2025 990

বাংলাদেশে অ্যানঅর্গাজমিয়া: উপসর্গ, কারণ, নির্ণয় ও চিকিৎসা

অ্যানঅর্গাজমিয়া (Anorgasmia) পুরুষদের যৌন সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম কম পরিচিত একটি সমস্যা। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে পুরুষরা স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা ও উদ্দীপনা থাকা সত্ত্বেও অর্গাজম বা বীর্যপাতের চূড়ান্ত আনন্দে পৌঁছাতে পারেন না বা এতে কঠিনতা অনুভব করেন।

বাংলাদেশে অনেক পুরুষ নীরবে এই সমস্যায় ভোগেন, কিন্তু লজ্জা, সামাজিক কলঙ্ক বা সচেতনতার অভাবে চিকিৎসা নেন না। অনেকেই এটিকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED) বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন (PE)-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। শারীরিকভাবে এটি ব্যথাহীন হলেও মানসিক প্রভাব গভীর — উদ্বেগ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করে।

অ্যানঅর্গাজমিয়া কী

অ্যানঅর্গাজমিয়া হল এমন একটি যৌন অবস্থা যেখানে পুরুষরা বারবার বা দীর্ঘসময় ধরে যৌন উদ্দীপনা পেলেও অর্গাজমে পৌঁছাতে পারেন না। এটি যৌনমিলন বা হস্তমৈথুন – উভয় অবস্থাতেই হতে পারে এবং সাধারণত মানসিক চাপ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা শারীরিক সমস্যার কারণে ঘটে।

অনেকে “ডিলেইড ইজাকুলেশন” বা “ইনহিবিটেড অর্গাজম” শব্দগুলো ব্যবহার করেন, কিন্তু অ্যানঅর্গাজমিয়া বলতে বোঝায় সম্পূর্ণ অর্গাজম না হওয়া — শুধু বিলম্ব নয়। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে মনে হয় সবকিছু স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে আনন্দের পরিণতি আসছে না। এই অভিজ্ঞতা বিভ্রান্তিকর, হতাশাজনক এবং মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হতে পারে।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার ধরণ

বিশেষজ্ঞরা সাধারণত অ্যানঅর্গাজমিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেন।

  • ১. প্রাইমারি অ্যানঅর্গাজমিয়া: এ ক্ষেত্রে একজন পুরুষ তার জীবনে কখনও অর্গাজমে পৌঁছাতে পারেননি। এটি সাধারণত যৌন জীবনের একেবারে শুরুর দিক থেকেই দেখা যায়।
  • ২. সেকেন্ডারি অ্যানঅর্গাজমিয়া: এটি ঘটে তখন, যখন কোনো পুরুষ স্বাভাবিক যৌনজীবন কাটানোর পর হঠাৎ করে অর্গাজমে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় এটি পরিস্থিতি অনুযায়ী ঘটে — যেমন কেউ একা হস্তমৈথুনে অর্গাজমে পৌঁছান, কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে মিলনে পারেন না। মানসিক চাপ, অতীতের ট্রমা বা পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তা এর প্রধান কারণ হতে পারে।

বাংলাদেশে সেকেন্ডারি অ্যানঅর্গাজমিয়া তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু ক্ষতি, কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এটির সাধারণ কারণ।

যদিও এটি ED বা PE-এর চেয়ে কম দেখা যায়, তারপরও গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় প্রতি ১,০০০ জনে ১.৫ জন প্রাইমারি অ্যানঅর্গাজমিয়ায় ভোগেন এবং ৬৫ বছরের নিচে প্রায় ৪% পুরুষ সেকেন্ডারি অ্যানঅর্গাজমিয়ায় আক্রান্ত হন। বয়স, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং কিছু ওষুধ ব্যবহারে ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাসও একে তীব্র করছে, যেখানে মস্তিষ্ক বাস্তব ঘনিষ্ঠতার তুলনায় কল্পনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

অর্গাজমের সমস্যা কেবল শারীরিক নয়, এটি মানসিক দিক থেকেও গভীর প্রভাব ফেলে। অনেক পুরুষ নিজেকে অযোগ্য মনে করেন, ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলেন, এমনকি যৌন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের বোঝাপড়া ও বিশ্বাস দুর্বল হয়। শারীরিক ও মানসিক দিক একসঙ্গে বোঝা এবং সমাধানের পথে যাওয়াই প্রথম ধাপ। খোলামেলা আলোচনা, সঠিক মূল্যায়ন ও মানসিক সহায়তার মাধ্যমে অধিকাংশ পুরুষই যৌন সন্তুষ্টি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পান।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার উপসর্গ

অ্যানঅর্গাজমিয়ার প্রধান উপসর্গ হল যৌন উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও অর্গাজমে পৌঁছাতে না পারা। তবে এর প্রভাব কেবল যৌনতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক পুরুষ উদ্বেগ, হতাশা বা মানসিক ক্লান্তি অনুভব করেন। বারবার ব্যর্থতার কারণে আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে যৌন আগ্রহও কমে যেতে পারে।

কেউ কেউ হতাশায় যৌনমিলন এড়িয়ে চলেন, আবার কেউ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের মাধ্যমে সমাধান খোঁজেন, যা শেষ পর্যন্ত আরও হতাশা সৃষ্টি করে। সঙ্গীরা প্রায়ই এই সমস্যাকে আকর্ষণের অভাব হিসেবে ভুল বোঝেন, ফলে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়।

যদি এসব উপসর্গ পরিচিত মনে হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে পুনরুদ্ধার সহজ হয়।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার কারণ

অ্যানঅর্গাজমিয়ার কারণ শারীরিক, মানসিক বা ওষুধ-সম্পর্কিত হতে পারে — অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো একসঙ্গে কাজ করে।

মানসিক কারণ

মানসিক স্বাস্থ্য যৌন প্রতিক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখে। বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেস যৌন আনন্দ কমিয়ে দেয় এবং শরীরকে অর্গাজমে পৌঁছাতে বাধা দেয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অর্থনৈতিক চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন বা কাজের অতিরিক্ত চাপ প্রায়ই পারফরম্যান্স উদ্বেগ সৃষ্টি করে — যা অন্যতম প্রধান কারণ।

গর্ভধারণের ভয়, অপরাধবোধ, ধর্মীয় বাধা বা অতীতের যৌন ট্রমাও ভূমিকা রাখে। অনেক পুরুষ যৌন মিলনের সময় মানসিকভাবে সংযুক্ত হতে পারেন না। অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি ব্যবহারের অভ্যাসও মস্তিষ্ককে বাস্তব ঘনিষ্ঠতার তুলনায় কল্পনার উপর নির্ভরশীল করে তোলে।

শারীরিক ও চিকিৎসাগত কারণ

কিছু ওষুধ ও শারীরিক সমস্যা অর্গাজমে প্রভাব ফেলে। দীর্ঘমেয়াদি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, বিশেষ করে SSRI গ্রুপের ওষুধ, যৌন ইচ্ছা কমায় ও অর্গাজম বিলম্বিত করে। অ্যান্টিসাইকোটিক, ব্যথানাশক বা প্রোস্টেটের ওষুধ (যেমন টামসুলোসিন) একই প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যালকোহল, ধূমপান বা মাদকও পরিস্থিতি খারাপ করে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যেমন কম টেস্টোস্টেরন বা বেশি প্রোল্যাকটিন যৌন সংবেদনশীলতা কমায়। ডায়াবেটিস বা স্নায়ু ক্ষতির কারণে পেনাইল সেনসেশন হারানো বাংলাদেশে অন্যতম সাধারণ কারণ।

আচরণগত কারণ

অতিরিক্ত বা নির্দিষ্ট পদ্ধতির হস্তমৈথুন শরীরকে সেই নির্দিষ্ট উদ্দীপনার প্রতি অভ্যস্ত করে তোলে। ফলে সঙ্গীর সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন মিলনে একই মাত্রার উদ্দীপনা না পেলে অর্গাজমে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়।

ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান (Risk Factors)

অ্যানঅর্গাজমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু কারণ হলো —

  • বয়স ও স্বাস্থ্য: বয়স বাড়ার সঙ্গে হরমোন ও স্নায়ুর সংবেদনশীলতা কমে যায়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্রোস্টেট সমস্যা বা হৃদরোগ যৌন প্রতিক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য ও ওষুধ: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, বা স্ট্রেস এবং এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ (যেমন SSRI) যৌন ইচ্ছা কমাতে পারে। ঢাকার মতো শহরের কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপও পারফরম্যান্স উদ্বেগ বাড়ায়।
  • অতীতের ট্রমা ও সংস্কৃতিগত প্রভাব: যৌন নির্যাতন বা কঠোর ধর্মীয় ও সামাজিক মানসিকতা যৌনতার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা: ডায়াবেটিস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা নিউরোলজিকাল রোগ (যেমন পারকিনসন, এমএস) স্নায়ু ক্ষতি করে অর্গাজমে বাধা দেয়।
  • জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান ও মাদক স্নায়ু ও হরমোনের কার্যকারিতা কমায়।

প্রাথমিক পর্যায়ে এসব ঝুঁকি চিহ্নিত ও নিয়ন্ত্রণে রাখলে সমস্যা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার নির্ণয়

যদি দীর্ঘদিন ধরে অর্গাজমে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে কারণ জানা গেলে চিকিৎসা সহজ হয়।

ডাক্তার আপনার চিকিৎসা ইতিহাস, ওষুধের ব্যবহার ও মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। প্রয়োজনে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয় —

  • হরমোন টেস্ট: রক্ত পরীক্ষা করে টেস্টোস্টেরন, প্রোল্যাকটিন ও থাইরয়েড লেভেল দেখা হয়।
  • পেনাইল সেনসেশন টেস্ট: স্নায়ুর সংবেদন কমে গেছে কিনা জানতে বায়োথেসিওমেট্রি বা স্যাক্রাল রিফ্লেক্স টেস্ট করা হয়।

পরীক্ষার ফল অনুযায়ী চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন সমস্যাটি শারীরিক, মানসিক নাকি ওষুধজনিত। এরপর উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয় — ওষুধ পরিবর্তন, হরমোন ব্যালান্স বা কাউন্সেলিং ও লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার চিকিৎসা

অ্যানঅর্গাজমিয়ার নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণের উপর — মানসিক, হরমোনজনিত বা শারীরিক। বাংলাদেশে সাধারণত ইউরোলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট বা সেক্স থেরাপিস্টের সহায়তায় চিকিৎসা করা হয়।

  • সাইকোথেরাপি ও কাউন্সেলিং: উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা মানসিক চাপের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং কার্যকর। এখন দেশে অনলাইন কাউন্সেলিংও জনপ্রিয়।
  • সেক্স থেরাপি ও পার্টনার সাপোর্ট: দম্পতির মধ্যে খোলামেলা যোগাযোগ, নতুন উদ্দীপনা পদ্ধতি ও মানসিক বাধা দূর করতে সাহায্য করে।
  • ওষুধ পরিবর্তন: কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (যেমন বুপ্রোপিওন) যৌন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও ওষুধ বন্ধ করবেন না।
  • ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ওষুধ: সিলডেনাফিল (Viagra®) বা টাডালাফিল (Cialis®) রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পারফরম্যান্স উদ্বেগ কমায়।
  • হরমোন থেরাপি: টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট বা ক্যাবারগোলিনের মতো ওষুধ হরমোন ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
  • ভাইব্রেটরি থেরাপি: স্নায়ুর সংবেদনশীলতা কমে গেলে পেনাইল ভাইব্রেশন থেরাপি অর্গাজমে সাহায্য করে।

সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত অনুসরণে অধিকাংশ পুরুষ স্বাভাবিক যৌন আনন্দ ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পান।

অ্যানঅর্গাজমিয়ার প্রতিরোধ

সব সময় এটি প্রতিরোধ করা না গেলেও, কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ঝুঁকি কমায় —

  • ডায়াবেটিস ও হরমোন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • উদ্বেগ বা বিষণ্ণতার প্রাথমিক পর্যায়ে থেরাপি নেওয়া
  • সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ রাখা
  • ধূমপান, অ্যালকোহল ও মাদক এড়ানো
  • যৌনতা নিয়ে অপরাধবোধ বা নেতিবাচক ধারণা দূর করা
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম
  • পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ অনুশীলন

মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা একসঙ্গে রক্ষা করা অ্যানঅর্গাজমিয়া প্রতিরোধের সেরা উপায়।

সারসংক্ষেপ

  • যদি অর্গাজমের সমস্যা আপনার আত্মবিশ্বাস বা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে, মনে রাখুন এটি চিকিৎসাযোগ্য।
  • অ্যানঅর্গাজমিয়া ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে — কেউ কখনও অর্গাজমে পৌঁছাতে পারেননি (প্রাইমারি), কেউ আবার পরবর্তীতে (সেকেন্ডারি)।
  • কারণ সাধারণত একাধিক — মানসিক চাপ, স্নায়ুর ক্ষতি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা হরমোন ভারসাম্যহীনতা।
  • সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে অধিকাংশ পুরুষ উন্নতি দেখতে পান। ডাক্তারকে খোলাখুলি জানান যদি দুর্বল বীর্যপাত বা সংবেদন কমে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকে, যাতে চিকিৎসা ব্যক্তিগতভাবে নির্ধারিত হয়। ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও সঠিক দিকনির্দেশনাই পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
 

বাংলাদেশে অ্যানঅর্গাজমিয়া: সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

অ্যানঅর্গাজমিয়া সম্পর্কিত সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলোর স্পষ্ট ও চিকিৎসক–পর্যালোচিত উত্তর।

পুরুষদের অ্যানঅর্গাজমিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা ও উদ্দীপনা থাকা সত্ত্বেও অর্গাজমে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এটি যৌনমিলন বা হস্তমৈথুন—উভয় ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে এবং শারীরিক, হরমোনজনিত বা মানসিক কারণের ফল হতে পারে।
বাংলাদেশে মানসিক চাপ, ডায়াবেটিস, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের ব্যবহার এবং উদ্বেগ এই সমস্যার সাধারণ কারণ। সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
অ্যানঅর্গাজমিয়া সাধারণত বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, ডায়াবেটিস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কম টেস্টোস্টেরন লেভেলের কারণে দেখা দেয়।
বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, সাংস্কৃতিক সংকোচ এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এর বড় কারণ। অনেক পুরুষ অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বা প্রোস্টেটের ওষুধ নেওয়ার পর এই উপসর্গ লক্ষ্য করেন।
সমস্যার মূল কারণ শারীরিক, মানসিক নাকি হরমোনজনিত—তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করলেই কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব।
অ্যানঅর্গাজমিয়ার কোনো একক নিরাময় নেই, তবে সঠিক চিকিৎসা পেলে অধিকাংশ পুরুষের অবস্থার উন্নতি হয়।
থেরাপি, ওষুধ পরিবর্তন বা হরমোন সংশোধনের মাধ্যমে ফল পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক নির্ণয় খুব জরুরি।
বাংলাদেশে মানসিক প্রশান্তি, জীবনযাত্রার উন্নয়ন এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান যৌন সন্তুষ্টি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। সময় ও যত্নে আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসে।
ডাক্তার সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা, চিকিৎসা ইতিহাস ও হরমোন টেস্ট (যেমন টেস্টোস্টেরন, প্রোল্যাকটিন, থাইরয়েড) করেন।
যদি স্নায়ুর সমস্যা সন্দেহ হয়, তবে বায়োথেসিওমেট্রি বা সেনসেশন টেস্ট করা হতে পারে।
বাংলাদেশে ইউরোলজিস্ট বা এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা এই মূল্যায়ন করেন। সমস্যাটি শারীরিক, মানসিক নাকি হরমোনজনিত তা চিহ্নিত করা চিকিৎসা পরিকল্পনার মূল ধাপ।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যার কারণের উপর। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থাকলে সাইকোথেরাপি বা সেক্স থেরাপি উপকারী।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে ডাক্তার প্রয়োজনে বিকল্প ওষুধ দিতে পারেন। হরমোন ভারসাম্যহীনতার ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন থেরাপি সহায়ক।
যাদের পেনাইল সেনসেশন কম, তাদের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন থেরাপি কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত কাউন্সেলিং, চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তন একত্রে ফল দেয়।
প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি হলো সুস্থ জীবনযাপন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা জরুরি।
মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতা থাকলে দ্রুত থেরাপি নেওয়া উপকারী। সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।
বাংলাদেশে সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা যৌন স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেয়।

Your experience on this site will be improved by allowing cookies.